গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় গ্রন্থের সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য লেখক গবেষক শাহ আতিকুল হক কামালীর সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক গবেষক দেওয়ান গৌস সুলতান। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা ফারুক আহমদ, লেখক ও ইতিহাস বিষয়ক গবেষক ডা. গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ থেকে আগত কবি হাসিবা মুন।
ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ড. আনসার আহমেদ উল্লাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্টানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থের সম্পাদক সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী। গ্রন্থ থেকে সরপঞ্চ অধ্যায়ের উপর পাঠ করেন বাচিক শিল্পি ও সংবাদ পাঠিকা মুনিরা পারভিন, এবং ঢাকা বিভাগের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীর শ্রীহট্রের রাজস্ব জিলা ও পরগনা অধ্যায় থেকে পাঠ করেন কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী স্মৃতি আজাদ, গ্রন্থের সম্পাদকীয় অধ্যায় থেকে আলোকপাত করেন সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য সাংবাদিক ও কবি মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া।
গ্রন্থের উপর আলোচনায় আরো অংশ নেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র আকিকুর রহমান, রাজনীতিবিদ শাহ জাহান আহমদ, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারী ও টিভি উপস্থাপক মিজানুর রহমান মিরু, স্বদেশবিদেশ সম্পাদক সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার, তরুন গবেষক দেলওয়ার রহমান চৌধুরী, কবি এডভোকেট মুজিবুল হক মনি, লন্ডনে রাধারমন উৎসবের প্রবর্তক সাবেক ফুটবলার জোবায়ের আহমদ হামজা, লন্ডনে দীগলবাক ইউনিয়ন ডেভল্যাপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এম. এ. মতিন, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির ফাউন্ডার সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাহেদ রহমান, সাংবাদিক কবি আজিজুল আম্বিয়া, সাংবাদিক কামরুল আই রাসেল, সাংবাকি সেজু মিয়া, নারী নেত্রী আনজুমান আরা আঞ্জু, এডভোকেট সফিক উদ্দিন আহমদ, কবি নোমান আহমদ, হামজা রহমান, মাজিদুর চৌধুরী প্রমুখ।

গবেষণা মূলক গ্রন্থটি মোগল আমল থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমলের ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের স্থানীয় সরকারের সার্কেল পদ্ধতির উপর রচিত। এতে সিলেট বিভাগের মোট ১২০জন সরপঞ্চ ও সহকারী সরপঞ্চের সংক্ষিপ্ত বিবরন তুলে ধরা হয়েছে। এতে আরো উঠে এসেছে প্রাচীন আমলে সিলেট অঞ্চলের পরগনা সমূহের বিবরন ও মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে সিলেটের দিশটি রাজস্ব জিলার বিবরন ও সীমানা। গ্রন্থটি মূলত নবীগঞ্জের তৎকালীন ৩৯নং সার্কেলের দুই সহোদর সরপঞ্চ শ্রীমান সনাতন দাস ও শ্রীমান দীননাথ দাসের জীবন ও কর্মের উপর রচিত। আলোচকরা বলেন এটি একটি মূল্যবান দলিল এতে ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় উঠে এসেছে। গ্রন্থটি ভবিষ্যৎ গবেষকদের জন্য একটি সহায়ক গ্রন্থ। গন্থের সম্পাদক ও তার টিমের প্রতি রইলো আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন। গ্রন্থটির নাম করন স্বার্থক হয়েছে। আভিধানিক ভাবে এর অর্থ দাড়ায় কাল শব্দের অর্থ ‘সময়‘ অভিজ্ঞান শব্দের অর্থ ‘নিদর্শন‘ এর অর্থ সময়ের নিদর্শন বা স্মাকর।
গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, সম্পদনা পর্ষদের সদস্যরা হলেন লেখক সাংবাদিক শাহ আতিকুল হক কামালী, কবি সাংবাদিক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লেখক গবেষক সামসুল আমিন, সংগঠক জার্নেল চৌধুরী, সাংবাদিক গীতিকার মুজিবুর রহমান মুজিব, লেখক গবেষক রত্নদীপ দাস রাজু। এতে লিখেছেন সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন ইমজা‘র সাবেক সভাপতি আল আজাদ, প্রকৌশলী ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা শ্রীচৈতন্য গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক মনোজ বিকাশ দেবরায়, সিলেটের শতবর্ষি ব্যক্তিত্ব মুকুন্দ্র চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাস, কবি গল্পকার ও শিশু সাহিত্যিক পৃথৃীশ চক্রবর্তি। গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. শরদিন্দু ভট্রাচার্য্য। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সিলেটের স্বনাম খ্যাত প্রকাশনী গাঁঙুড় প্রকাশন, প্রকাশক অসীম সরকার।